Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সম্পূর্ণ নিউজ "সততা বার্তা"


২১ টা ২৯ মিঃ, ১৪ জুলাই, ২০২১

বরিশালে অনলাইন গরুর হাটে অনাগ্রহ

বরিশালে অনলাইন গুরুর হাটে ক্রেতাদের সাড়া মেলেনি। ১০ হাজার পশুর ছবি ও বিক্রেতার নাম ঠিকানা আপলোড করা হয়েছিল ২৫ জুন। কিন্তু ১৯ দিন হয়ে যাওয়ার পরেও একদিনও বেচা-কেনা হয়নি বলে জানা যায়। বরিশালে করোনার মধ্যেও স্বশরীরে হাটে গিয়ে পশু কেনায় আগ্রহ রয়েছে ক্রেতাদের।


বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম  সময় সংবাদকে জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ‘অনলাইন কোরবানির হাট বরিশাল' নামে একটি অনলাইন পশুর হাট চালু করে ছিল গত ২৫ জুন। ১৯ দিনে এই হাটে মোট ১০ হাজার গরু ও ছাগলের ছবি ও বিক্রেতার নাম আপলোড করা হয়। কিন্তু একটিও বিক্রি হয়নি বলে আজ বুধবার বিকেলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

ডা. নুরুল আলম আরও বলেন, বরিশালে কোরবানীর পশু ক্রেতার মূলত স্বশরীরে হাটে উপস্থিত হয়ে দেখে শুনে দরদাম করে পশু কিনতে আগ্রহী। এ কারনে অনলাইনে পশু বিক্রিতে তেমন সাড়া নেই। ক্রেতারা মূলত হাট বসার জন্য অপেক্ষা করছেন।
এদিকে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার জানান, সদর উপজেলা থেকে সরকারি অনলাইন হাটে ১ হাজার ৮৫৭টি গরু ও ২৪৩টি ছাগলের ছবি আপলোড করা হয়। কয়েকজন মানুষ অনলাইনে আলাপ আলোচনা করে কেনার জন্য পশু নির্বাচন করে রেখেছেন। লেনদেন হয়নি এখনও।
এ ব্যাপারে আলাপকালে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, করোনকালে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে অনলাইনে পশুর হাট শুরু হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। অনলাইনে সাড়া তুলনামূলক কম। করোনা সংক্রমণ রোধে ক্রেতাদের সরকারি অনলাইন পশুর হাট থেকে পশু কেনার আহ্বান জানান তিনি।
অপরদিকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত বরিশাল মহানগরী এবং জেলায় মোট ২২টি গরুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সিটি করপোরেশন  মহানগরীতে করোনার কারণে মাত্র দুটি হাটের অনুমোদন দিয়েছে। একটি নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোডের বটতলা এলাকায় এবং অপরটি নগরীর রূপাতলী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতুর ঢালে। অপর ২০টি হাট বসছে জেলার ১০ উপজেলায়।
বরিশাল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, এবার করোনার কারণে যাচাই বাছাই করে পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের চাহিদাপত্র অনুযায়ী জেলা প্রশাসন থেকে পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ৪ হাজার ২শ' ২৬টি বড়-ছোট পশুর খামার রয়েছে। এতে পশু মজুদ রয়েছে ৪৬ হাজার ৬শ' ১৯টি। এর মধ্যেও ৩৮ হাজার ৩শ' ৯৫টি গরু এবং ছাগল ৮ হাজার ২শ' ২৪টি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ